সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ ছাত্রের বিক্ষোভ এবং সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড ২০২৫ সালে হজে নিবন্ধন শেষ হয়েছে ৪৩,৩৭৪ জনের প্রতিটি চার নারীর মধ্যে তিনজনই সহিংসতার শিকার: স্বাস্থ্য ও সামাজিক জরিপ ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম সাময়িক বরখাস্ত শীতের আগমনী বার্তা: আবহাওয়া অফিসের শৈত্যপ্রবাহের আগাম সতর্কতা নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মির্জা ফখরুল বলছেন, এ দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে না সচেতনতা ও টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: নূরজাহান বেগম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: আমার ছেলে-মেয়েরা দেশে, আমি কি ভাবে নিরাপদ থাকব? প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন
ভাষাসৈনিক, কবি ও প্রাবন্ধিক আহমদ রফিক আর নেই

ভাষাসৈনিক, কবি ও প্রাবন্ধিক আহমদ রফিক আর নেই

ভাষাসৈনিক, প্রাবন্ধিক, কবি এবং রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক আজকাল নেই। তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যाग করেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বিশেষ সহকারী মো. রাসেল। চিকিৎসকদের মতে, মৃত্যুর সাত মিনিট আগে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। বর্তমান বয়স ৯৬ বছর।

অ আহমদ রফিকের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় বুধবার বিকেলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. কানিজ ফাতেমার তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তার পাশাপাশি কিডনির সমস্যায় ও সম্প্রতি বেশ কয়েকবার শোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এর আগের দিন, ১১ সেপ্টেম্বর, ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁকে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায়, গত রোববার তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহমদ রফিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গাউসনগরে এক ভাড়া বাড়িতে একাই বাস করতেন। ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করে তিনি ভাষাসৈনিক, কবি ও প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। তাঁর জীবনে ২০০৬ সালে স্ত্রীর মৃত্যু হয় এবং তিনি নিঃসন্তান। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে বিপুল সংখ্যক বই রয়েছে, যা তার জীবদ্দশায় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।

তিনি শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রাবন্ধিক ও ইতিহাসবিদ হিসেবে তার ভূমিকা অপরিসীম। তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। দুই বাংলাতেই তার রবীন্দ্রচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে; কলকাতা র টেগর রিসার্চ ইন্সটিটিউট থেকে তাকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি দেওয়া হয়।

২০১৯ সাল থেকে তার দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। অস্ত্রোপচার হলেও ফল প্রত্যাশামাফিক হয়নি। ২০২৩ সালে তিনি প্রায় দৃষ্টিহীন অবস্থায় চলে আসেন। এর আগে ২০২১ সালে পা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের জন্য দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসা ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার দাবি জানানো হয়।

শেষে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তিনি তার দেহ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের মেডিকেল কলেজে দান করে গেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd